The Passing Away of Bapu by Nayantara Sehgal is a moving tribute to Mahatma Gandhi, capturing the profound sense of loss that swept across India after his assassination. Written with deep personal reflection and historical significance, the essay resonates with readers across generations. To make this important piece more accessible to Bengali-speaking readers, we have translated three poignant passages from the original English text into Bengali. These translations aim to preserve the emotional depth and reflective tone of Sehgal’s work, offering a glimpse into the collective mourning and the enduring legacy of Bapu. What follows is the Bengali rendering of this heartfelt narrative.

Passage 1 – Gandhiji’s Death and Public Mourning
আমি ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে চা খাচ্ছিলাম, তখন আমাকে বারিলা হাউসে একটি জরুরি টেলিফোনে ডাকা হয়। গান্ধীজিকে প্রার্থনার সভার পথে গুলি করা হয়েছে। আমি গাড়িতে উঠার সময় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
বারিলা হাউসে গিয়ে দেখি, গান্ধীজির আত্মীয় ও অনুগামীরা তাঁর দেহের চারপাশে জড়ো হয়েছেন। ঘরে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিল, যখন গান্ধীজি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গান্ধীজির মৃত্যুর খবর দিল্লি জুড়ে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বারিলা হাউসের চারপাশে দলে দলে শোকাহত মানুষ জড়ো হতে থাকে। প্রত্যেক জানালার বাইরে দেখা যাচ্ছিল বাদামি মুখাবয়বের অস্পষ্টতা। তারা কোনো শব্দ করেনি। চারিদিকে ছিল এক অস্বাভাবিক নিস্তব্ধতা। মনে হচ্ছিল কয়েক মিনিটের জন্য সময় থমকে গেছে।
প্রথমে মানুষ এতটাই স্তব্ধ ছিল যে কিছু বলতেও পারেনি। পরে তারা হাহাকার করে উঠল, চিৎকার করতে লাগল, কাঁদতে লাগল। তারা গৃহে ঢোকার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করল। পরে ঘোষণা করা হয় যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে তারা গান্ধীজিকে শেষবারের মতো দেখতে পারবে, তখন তারা কিছুটা শান্ত হয়।
প্রিয়জনের মৃত্যুর ধাক্কা পেলে একজন সাধারণত কাঁদে ও বলে: “এখন আমি কী করব, উনি চলে গেলেন?” নিঃসন্দেহে শোকগ্রস্ত মানুষের মনে এই প্রশ্নটাই ঘুরছিল। তারা ছিল পথ হারানো শিশুদের মতো। আমরাও চুপচাপ বসে সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছিলাম, যখন বেতারে ঘোষণা হচ্ছিল যে আমাদের বাপু আর নেই।
Passage 2 – Gandhiji’s Funeral and Its Deeper Meaning
গান্ধীজির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া তাঁর মৃত্যুর পরদিন হওয়ার কথা ছিল। অনেক আগেই মানুষ রাস্তার পাশে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যে পথে শবযাত্রা যাবে। পদ্মশী, মিসেস নাইডুর কন্যা, আমাদের সকলের হয়ে শুধু বললেন: “আমরা হাঁটব। এটাই আমাদের বাপুর সঙ্গে শেষবার হাঁটা।”
ওটা ছিল এক বেদনাদায়ক পদযাত্রা। হাজার হাজার মানুষ নীরবে শবযাত্রার দিকে তাকিয়ে ছিল। বাপু ফুলে ঢাকা একটি খোলা ট্রাকে শুয়ে ছিলেন। হাজার হাজার মানুষ কাঁদছিলেন, কেউ কেউ তাঁর পায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এত ভিড় ছিল যে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
আমি ধীরে ধীরে এগোতে এগোতে বুঝলাম, আমি শুধু শোকাহত মানুষের মাঝে নেই। এটা ছিল ভারতের প্রিয় নেতার এক শবযাত্রার চেয়েও বেশি কিছু। আমি এমন মানুষের মাঝে ছিলাম যাঁদের কাছে বাপুর সঙ্গে হাঁটার ছিল বিশেষ তাৎপর্য। আমরা বাপুর সঙ্গে ভারতের ইতিহাসের উত্থান-পতনের পথে হাঁটছিলাম। আমরা মেনে নিতে পারছিলাম না যে, যিনি আমাদের কাঁটায় ভরা পথ পার করে নিয়ে গেছেন, তিনি আর কখনো আমাদের সঙ্গে হাঁটবেন না। বাপুর হালকা শরীরটা, হাতে লাঠি নিয়ে, ভারতের বহু জায়গা হেঁটে বেড়িয়েছেন। হাঁটা মানে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। চিন্তা করা এবং চারপাশের সবকিছুকে মনোযোগ দিয়ে দেখা—ছোট্ট পতঙ্গ থেকে দিগন্ত পর্যন্ত। সাধারণ মানুষের কাছে হাঁটা ছিল একমাত্র পন্থা, যেটিতে তাঁর নিজের শরীর ও দৈহিক শক্তি ছাড়া কিছুই লাগতো না। গান্ধীজি এই সাধারণ বিষয়টিকে আনন্দের প্রচেষ্টায় রূপান্তরিত করেছিলেন।
Passage 3 – Immersion of Ashes and Inner Reflection
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কয়েকদিন পর, একটি বিশেষ ট্রেনে গান্ধীজির অস্থি এলাহাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়। রেলগাড়ির কামরা ফুল দিয়ে সাজানো ছিল। যাত্রীরা ভজন গাইছিলেন। তখন আর কেউ কাঁদছিল না, কারণ ফুল ও সংগীতের মাঝে তারা অনুভব করছিলেন গান্ধীজির উপস্থিতি। প্রতিটি স্টেশনে শোকার্ত জনতা প্ল্যাটফর্মে জড়ো হয়েছিল। সংগীত ও প্রার্থনার মাঝে ট্রেন এলাহাবাদ পৌঁছায়। গঙ্গার তীরে একটি বিশাল জনসমাগমের মধ্যে অস্থি বিসর্জন করা হয়। পরে আমরা সবাই দিল্লিতে ফিরে যাই।
দিল্লি ফিরে আমি নিজেকে অসহায় মনে করছিলাম। আমি সরাসরি গান্ধীজির সঙ্গে হাঁটিনি, তাঁর আহ্বানে কারাবরণ করিনি, কিংবা দেশের জন্য কোনো ত্যাগ করিনি। আমার বোনেরা এবং আমার মতো অন্যান্য তরুণরা শুধু দর্শক ছিলাম। তবুও আমি অসহায় বোধ করছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি এক জাদুময় বৃত্তের মধ্যে বড় হয়েছি। বাপুর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেই বৃত্ত ভেঙে গিয়ে আমাকে নিরাবরণ করে দিয়েছে।
নিজেকে অনেক কষ্টে উজ্জীবিত করলাম। নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম—বাপু কি তবে নিরর্থকই বাঁচলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন? তিনি নেই বলে আমি এত সহজে সাহস হারাতে পারি? আমার মূল্যবোধ কি এত দুর্বল? লক্ষ লক্ষ মানুষ ছিলেন সাধারণ, কিন্তু বাপু তাঁদের জাগিয়েছিলেন, একে অপরের দুঃখ বুঝতে শিখিয়েছিলেন। আজ যদি বাপু না-ও থাকেন, আমরা তো আছি। আমরা তরুণ, আমরা দৃঢ়, আর আমরা গর্বিত যে তাঁর পতাকা বহন করব সামনে। বাপু চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর ভারত বেঁচে থাকবে তাঁর সন্তানদের মধ্যে।

Translating The Passing of Bapu into Bengali is more than a linguistic exercise—it is a tribute to a shared history and a means of connecting deeper with the emotions that gripped an entire nation. Nayantara Sehgal’s reflections remind us that Bapu’s life and values continue to guide us, even in his absence. Through these translations, we hope to bring readers closer to the spirit of that era and inspire renewed appreciation for Gandhiji’s ideals. May his legacy live on in every heart, in every language.