Stories have a timeless charm that transcends boundaries of age, geography, and language. Among such treasured narratives is the delightful tale set on the Big Half Moon Island, where imagination, childhood curiosity, and the bonds of family come alive in the most heartwarming way. Our Runaway Kite by Lucy Maud Montgomery is a heartwarming short story that weaves together the innocence of childhood, the beauty of island life, and the serendipitous way families can reunite. Known for her vivid storytelling and emotional depth, Montgomery crafts a tale where a simple hobby—kite flying—leads to the discovery of long-lost relatives. Through the perspective of a young girl living on Big Half Moon Island, we journey into a world of playful adventures, quiet loneliness, and joyful surprises. The following Bengali translation aims to bring this classic story closer to Bengali readers, preserving its original charm and emotional resonance while offering access to Montgomery’s literary magic in their own language.

Unit 1:
অবশ্যই, বিগ হাফ মুন দ্বীপে আমাদের খেলার মতো আর কেউ ছিল না। আমাদের একে অপরকে নিয়েই সময় কাটাতে হতো—আর আমরা তা পুরোপুরি উপভোগ করতাম।
আমরা বিগ হাফ মুন দ্বীপে থাকি। ‘আমরা’ বলতে আমি, বাবা, ক্লড, অ্যাণ্ট এসথার, মিমি আর ডিক। আগে কেবল বাবা, ক্লড আর আমি থাকতাম। এখন বেড়ে যাওয়ার পুরো কারণটা একটি ঘুড়ি—আর সেই গল্পটাই আমি তোমাকে বলতে চাই।
বাবা বিগ হাফ মুন বাতিঘরের রক্ষক। আমার বয়স এগারো বছর। ক্লডের বয়স বারো। শীতকালে, যখন বন্দরের জল জমে বরফ হয়ে যায়, তখন আমরা সবাই মূল ভূখণ্ডে চলে যাই। আর বসন্ত এলেই ফিরে আসি আমাদের প্রিয় দ্বীপে।
মজার ব্যাপার হলো, ফিরে আসার সময় সবাই আমাদের জন্য দুঃখ করত। তারা বলত, “ওইখানে তো আর কোনো বাচ্চা নেই, তোমরা কত একা বোধ করো নিশ্চয়ই।” অবশ্য ক্লড আর আমারও খেলার জন্য কিছু সঙ্গী থাকলে ভালো লাগত। পায়ে চলা গুহা আর জলদস্যুর নাটকগুলো কেবল দু’জন মিলে চালানো কঠিন। তবে মূল ভূখণ্ডের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে শীতকালে আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাই দ্বীপে ওদের কেউ না থাকাই বোধহয় ভালো ছিল। ক্লড আর আমার কিন্তু কখনো ঝগড়া হতো না।
বাবার যেন আমাদের ছাড়া আর কোনো আত্মীয়স্বজন ছিল না—এই বিষয়টা ক্লড আর আমাকে বেশ ভাবাত। মূল ভূখণ্ডে সবার আত্মীয় ছিল। আমাদের কেন নেই? এটা কি শুধুমাত্র দ্বীপে থাকার কারণে? আমরা ভাবতাম, যদি আমাদের কোনো কাকা-জেঠা আর কিছু খুড়তুতো জেড়তুতো মামাতো পিসতুতো ভাই বা বোন থাকত, তাহলে কত আনন্দ হতো। একবার আমরা এই নিয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু তিনি এতটা দুঃখী হয়ে উঠেছিলেন যে আমরা মনে করলাম, জিজ্ঞেস না করলেই ভালো হতো। তিনি বলেছিলেন, “সব আমার দোষ।” কিন্তু ক্লড আর আমি বুঝতেই পারিনি, তিনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন।
Unit 2:
গ্রীষ্মকালে বিগ হাফ মুন দ্বীপ সবসময়ই দারুণ সুন্দর থাকে। আবহাওয়া ভালো থাকলে, বন্দর শান্ত ও নীল হয়ে থাকে, হালকা হাওয়া আর ছোট ছোট ঢেউয়ে মন ভরে যায়। প্রতি গ্রীষ্মেই আমাদের কোনো না কোনো শখ থাকত। ডিক আর মিমি আসার আগের শেষ গ্রীষ্মে আমরা ঘুড়ি নিয়ে একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। মূল ভূখণ্ডের এক ছেলে ক্লডকে ঘুড়ি বানাতে শেখায়। দ্বীপে ফিরে এসে আমরা অনেক ঘুড়ি বানাই। ক্লড দ্বীপের অন্য পাশে চলে যেত, আর আমরা যেন জাহাজডুবির শিকার নাবিক—ঘুড়ির মাধ্যমে একে অপরকে সংকেত দিতাম।
আমাদের একটা বড় ঘুড়ি ছিল, সুন্দর লাল কাগজে মোড়া। আমরা তাতে সোনালী টিনসেলের তারা লাগিয়ে দিয়েছিলাম আর বড় করে লিখে দিয়েছিলাম—ক্লড লিট ও ফিলিপা লিট, বিগ হাফ মুন বাতিঘর।
একদিন দুর্দান্ত হাওয়া উঠেছিল ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য। ঠিক কীভাবে হয়েছিল মনে নেই, কিন্তু আমি যখন ঘুড়িটা ঘর থেকে আনছিলাম, তখন পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই। আমার কনুই ঘুড়ির মাঝখান দিয়ে সোজা গিয়ে পড়ে, আর তাতে একটা বড় ছিদ্র হয়ে যায়।
যদি আমরা ঘুড়ি ওড়াতে চাই, তাহলে তাড়াতাড়ি ঠিক করতে হবে—এই ভেবে আমরা দৌড়ে বাতিঘরে যাই কাগজ আনতে। জানতাম, আর লাল কাগজ নেই। তাই প্রথম যা হাতে পেলাম—বসার ঘরের বুককেসে পড়ে থাকা একটা পুরোনো চিঠি—তাই নিয়ে ঘুড়িটা জোড়া লাগালাম। চিঠির এক টুকরো করে দুই পাশে লাগিয়ে আগুনের পাশে শুকিয়ে নিলাম। এরপর বাইরে এসে ঘুড়ি ওড়ালাম—আর সেটা পাখির মতো আকাশে উড়তে লাগল। হাওয়াটা ছিল অসাধারণ, আর ঘুড়িটা দুর্দান্তভাবে ভেসে উঠেছিল। হঠাৎ করেই—ছ্যাক! ক্লড তখন দাঁড়িয়ে, হাতে শুধু একটুকরো দড়ি। আমাদের ঘুড়ি উড়ে গেল মূল ভূখণ্ডের দিকে।
Unit 3:
এক মাস পর বাবার নামে একটি চিঠি এল। সেটা পড়ে শেষ করার পর, তাঁর চোখ দেখে মনে হলো তিনি কেঁদেছেন। তিনি বললেন, “তোমরা জানতে চাও তোমাদের ঘুড়ির কী হয়েছিল?” তারপর আমাদের পাশে বসে পুরো কাহিনি বললেন।
বাবার ছিল এক ভাই আর এক বোন। তিনি ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। বহু বছর পর যখন অনুশোচনায় ভুগে ফিরে আসেন, তখন দেখেন ভাই মারা গেছেন আর বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এই যে চিঠি এল, সেটা ছিল তাঁর বোনের—অ্যান্ট এসথার, ডিক আর মিমির মা। তিনি একজন বিধবা, যিনি শত শত মাইল দূরের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে থাকতেন। একদিন ডিক আর মিমি বনে খেলতে গিয়ে একটা গাছের ডালে আমাদের ঘুড়িটা দেখতে পায় আর সেটা বাড়ি নিয়ে আসে। যখন তাঁদের মা সেই ঘুড়িটা দেখেন—বিশেষ করে সেই চিঠি দিয়ে প্যাচ লাগানো অংশ—তখন একদম ফ্যাকাশে হয়ে যান। সেটা ছিল সেই চিঠি, যা তিনি একদিন তাঁর ভাইকে লিখেছিলেন। ফিলিপা ছিল তাঁর মায়ের নাম, আর ক্লড ছিল তাঁর বাবার নাম। তখনই তিনি বুঝতে পারেন আমরা কে।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিগ হাফ মুনে একটি চিঠি লেখেন এবং বাবা সেটা পান।
পরদিন বাবা গিয়ে অ্যান্ট এসথার, ডিক আর মিমিকে সঙ্গে নিয়ে এলেন। তারা সেই থেকে আমাদের সঙ্গেই আছে। অ্যান্ট এসথার খুব স্নেহশীলা, আর ডিক ও মিমি এতই মজার যে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
কিন্তু সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হলো—এখন আমাদের আত্মীয় আছে!

The story Our Runaway Kite by Lucy Maud Montgomery beautifully captures the spirit of childhood, the power of simple joys, and the unexpected ways in which life brings people together. Through a lost kite, a torn letter, and a twist of fate, the characters rediscover family and connection in the most magical way. This Bengali translation has sought to retain the warmth and emotional depth of Montgomery’s original writing, allowing Bengali readers to experience the same wonder and delight. As with many of Montgomery’s works, this story reminds us that even the smallest moments can carry the biggest meanings—and sometimes, even a runaway kite can lead us home.