Andrew Barton Paterson, widely known as Banjo Paterson, was an iconic Australian writer whose witty and insightful prose often brought everyday life into sharp focus. One of his most delightful essays, The Cat, explores the secret life and peculiar personality of a household cat. Through humour and observation, Paterson reveals how the seemingly lazy, pampered cat leads a life far more adventurous and cunning than we imagine.
In this article, we present a Bengali translation of three carefully selected passages from The Cat, offering readers an opportunity to enjoy Paterson’s rich narrative in their native language. Whether you’re a student, a literature lover, or simply a curious reader, these translations aim to bring alive the charm and cleverness of this classic essay for Bengali-speaking audiences.

প্রথম অনুচ্ছেদ (The cat and its character)
অধিকাংশ মানুষ মনে করে বিড়াল একটি বুদ্ধিহীন প্রাণী, যেটা আরাম ভালোবাসে এবং দুধ ও ইঁদুর ছাড়া আর কিছুর প্রতি আগ্রহ দেখায় না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিড়ালের চরিত্র বেশিরভাগ মানুষের চেয়ে গভীর এবং সে জীবনের অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করে।
সে — পুরুষ বা নারী — একজন ক্রীড়াবিদ, একজন দক্ষ ব্যায়ামকুশলী এবং একজন কঠিন যোদ্ধা। সারাদিন সে বাড়িতে আলস্য করে ঘোরে, আরাম করে এবং বাড়ির লোকদের আদরে নিজেকে সঁপে দেয়। সময় কাটানোর জন্য কখনও কখনও সে কয়েক ঘণ্টা ধরে একটি ইঁদুরের গর্তের দিকে তাকিয়ে থাকে — শুধুমাত্র একঘেয়েমি থেকে বাঁচার জন্য। মানুষ ভাবে, বিড়ালের জীবনে এই একঘেয়ে বিষয়গুলোই সব। কিন্তু সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে যখন আপনি তাকে দেখবেন, তখনই আপনি বিড়ালকে তার আসল রূপে চিনতে পারবেন।
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ (The cat and the guest at tea)
যখন পরিবার চা খেতে বসে, বিড়াল তখন নিজের অংশ আদায় করতে হাজির হয়। সে গলা তুলে গরগর শব্দ করে এবং পরিবারের সদস্যদের পায়ে গা ঘষে। যদি টেবিলে কোনো অতিথি থাকে, তাহলে বিড়াল তার প্রতি বিশেষভাবে ভদ্র আচরণ করে, কারণ অতিথির ভাগেই সাধারণত সেরা খাবার থাকে।
কখনও কখনও অতিথি খাবার না দিয়ে বিড়ালকে আদর করে বলে, “সুন্দর পুসি! মিষ্টি পুসি!” কিন্তু বিড়াল খুব তাড়াতাড়ি তাতে বিরক্ত হয়। সে নখ তুলে চুপিচুপি কিন্তু শক্তভাবে অতিথির পায়ে আঁচড় দেয়। “উঁহু!” — বলে ওঠে অতিথি, “বিড়ালটা আমাকে আঁচড় দিল!” খুশিতে আত্মহারা পরিবার তখন বলে, “দেখো না কত মিষ্টি! কত বুদ্ধিমান! ও চায় তুমি ওকে কিছু খেতে দাও।”
অতিথি যা করতে চায় — যেমন বিড়ালটাকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলা — তা আর সাহস করে না। তার চোখে রাগ ও ব্যথার জল নিয়ে সে হাসিমুখে ভান করে যে সে খুব আনন্দিত, আর নিজের প্লেট থেকে একটু মাছ বিড়ালকে দেয়। বিড়াল সেটা সাবধানে গ্রহণ করে, তার চোখে এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যা যেন বলে, “পরের বার একটু তাড়াতাড়ি বোঝার চেষ্টা করো, বন্ধু।” তারপর সে অতিথির জুতোর আঘাত থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়ে খাওয়া শুরু করে।
তৃতীয় অনুচ্ছেদ (The cat’s nightly adventures and attachment to home)
যখন পরিবার চা শেষ করে আগুনের পাশে জড়ো হয়, বিড়াল তখন স্বাভাবিকভাবে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তখনই তার আসল জীবন শুরু হয়। সে ধীরে ধীরে নিজের উঠোনে নামে, পাঁচিলের উপর লাফ দেয় এবং হালকা করে অপর পাশে নেমে পড়ে। সে চুপচাপ হেঁটে যায় এবং একটি খালি শেডের ছাদের উপর উঠে পড়ে। তখন তার চলন হয়ে ওঠে চিতা বাঘের মতো চটপটে। চারপাশে সতর্ক দৃষ্টিতে দেখে এবং নিঃশব্দে চলে, কারণ তার অনেক শত্রু রয়েছে — কুকুর আর পাথর ছোঁড়া ছোট ছোট ছেলে।
শেডের উপর সে পিঠ বাঁকিয়ে তার নখ দিয়ে পুরনো ছাদের নরম বাকলে আঁচড় কাটে। সে কয়েকবার শরীর টানটান করে নিজেকে প্রসারিত করে, দেখে সব পেশি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। এরপর মাথা প্রায় পায়ে ঝুলিয়ে, সে নিজের সঙ্গীদের ডাক পাঠায়। অল্প সময়েই তারা আসে, ছায়ার মতো মসৃণ, সুন্দর ভঙ্গিমায়। তখন তারা আর সেই নম্র প্রাণী নয়, যারা এক ঘণ্টা আগে মাছ আর দুধের জন্য মিউমিউ করছিল। এখন তারা ভয়ংকর যোদ্ধা।
ভাবো, সে তার জীবনের কতটা আনন্দ পায়, যা তোমরা কখনও পেতে পারো না! এবং তাদের খেলার ধরণও কী চমৎকার! তারা যখন বয়সে বড় হয়, তখন তারা খেলাধুলার জন্য শহরতলির উঠোনে যায়। এই উঠোনগুলো আমাদের কাছে একঘেয়ে হলেও, তাদের কাছে একেকটা শিকারের মাঠ, যেখানে তারা এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পায় যা কিং আর্থারের নাইটরাও পায়নি।
বিড়ালদের বিরুদ্ধে অনেক সময় এই অভিযোগ আনা হয় যে তারা বাড়ির মানুষদের তুলনায় বাড়ির প্রতি বেশি অনুরাগী। প্রকৃতপক্ষে, বিড়াল তার নিজের দেশ ছাড়তে চায় না — যেখানে তার সব বন্ধু আছে এবং প্রতিটি জায়গা তার চেনা। যদি পরিবার অন্যত্র চলে যায়, তাহলে বিড়াল সুযোগ পেলে পুরনো বাড়িতেই থেকে যায় এবং নতুন বাসিন্দাদের সঙ্গে জুড়ে যায়। সে তাদের সেই সৌভাগ্য দেয় যে তারা তাকে খাওয়াবে, আর সে নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করবে।

Through these Bengali translations of selected passages from The Cat by Andrew Barton Paterson, we gain a deeper appreciation of the cat’s secret world—one filled with elegance, mischief, and wild adventure. Paterson’s writing not only entertains but also gently challenges our assumptions about a creature we often overlook.
By experiencing this classic essay in Bengali, readers can connect more intimately with the text, discovering its humor and wisdom in a language closer to home. We hope this effort brings the spirit of Paterson’s cat to life and inspires a renewed interest in observing the small wonders around us with keener eyes.